স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পটিয়া,লোহাগড়া, চকরিয়া, ঈদগাঁও, রামু,খরুলিয়া মোড় ও এলাকায় প্রতিনিয়ত ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। কখনো ট্রাক, কখনো যাত্রীবাহী বাস কিংবা পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যাচ্ছে। এর ফলে একদিকে যানজট তৈরি হচ্ছে, অন্যদিকে অনেক পরিবার হারাচ্ছে আপনজনকে।
শুধু গত এক সপ্তাহেই মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত তিনটি বড় দুর্ঘটনায় অন্তত ৭ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
কারণ কী?
দুর্ঘটনার জন্য চালকদের বেপরোয়া গতি, ট্রাক ও বাস চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার, সড়কে অতিরিক্ত ওভারটেকিং এবং মহাসড়কে পর্যাপ্ত সড়ক নিরাপত্তা না থাকাকে দায়ী করেছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়ক উন্নয়নে ফোর ল্যান না হওয়াতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
নেটিজনদের ক্ষোভ
ফেসবুক, টিকটক ও বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অসংখ্য মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। অনেকে লিখেছেন—
- “মহাসড়ক এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে।”
- “প্রতিদিনই দুর্ঘটনার খবর শুনতে শুনতে আতঙ্কে আছি।”
- “কেবল যাত্রীদের জীবনই নয়, চালকদেরও ঝুঁকি বাড়ছে।”
স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ
অভিযোগ রয়েছে, সড়কে অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং, যত্রতত্র স্টপেজ তৈরি এবং লাইসেন্সবিহীন চালকদের চলাচল ঠেকাতে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। অনেক যাত্রী দাবি করছেন, ট্রাফিক পুলিশের নিয়মিত তদারকি না থাকায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে করণীয়
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত চালক প্রশিক্ষণ, গতি নিয়ন্ত্রণ, কঠোর ট্রাফিক আইন প্রয়োগ, মহাসড়কের ভাঙা অংশ সংস্কার এবং জরুরি সেবা কার্যক্রম বাড়ানোর দাবি উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ‘মৃত্যুর সড়ক’ হিসেবেই পরিচিতি পাবে।
পাঠকের মতামত